খরগোশের বংশবৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয়
খরগোশের প্রজনন
পুরুষ : স্ত্রীর অনুপাত---------------------১:১০
প্রথম মেটিং এর বয়স-------৫-৬ মাস (পুরুষ খরগোশের জন্য একবছর যাতে বাচ্চার সংখ্যা বেশী পাওয়াযায়)
মেটিং-এর সময় স্ত্রী খরগোশের শারীরিক ওজন-------------------------২.২৫-২.৫ কেজি
গর্ভকাল----------------------২৮-৩১ দিন
দুধ ছাড়ানোর সময-------৬ সপ্তাহ
বাচ্চা হওয়ার পর আবার মেটিং-এর সময়----------বাচ্চা হওয়ার ৬ সপ্তাহ পরে বা দুধ ছাড়ানোর পরে
বিক্রীর বয়স----------------------১২সপ্তাহ
বিক্রীর সময়ে ওজন-----------প্রায় ২ কেজি বা তার বেশী
স্ত্রী খরগোশ কামোদ্রেকের লক্ষণ দেখালে তাকে পুরুষ খরগোষের খাঁচায় নিয়েযাওয়া হয়। গর্ভধারনের ঠিক সময় হলে সে লেজটা তুলে দেয় মেটিং এর জন্য। সফলমেটিং এর পর পুরুষ একদিকে এলিয়ে পড়ে এবং একটা বিশেষ ধরনের আওয়াজ করে।মেটিং এর জন্য একটা পুরুষ খরগোশকে সপ্তাহে ৩/৪ দিনের বেশী ব্যবহার করাউচিত্ না। একইভাবে একটা পুরুষ খরগোশকে ব্রীডিং-এর জন্য দিনে ২/৩ বারেরবেশী ব্যবহার করা উচিত্ না। ব্রীডিং-এ ব্যবহৃত পুরুষ খরগোশকে যথেষ্টবিশ্রাম ও পুষ্টিকর খাদ্য দেওয়া দরকার। একটা খরগোশালয়ে প্রতি ১০টি স্ত্রীরজন্য একটি করে পুরুষ খরগোশ থাকা দরকার। একটি বা দুটি বাড়তি পুরুষ খরগোশওফার্মে প্রতিপালন করা যেতে পারে যাতে প্রজনন -এ ব্যবহৃত কোন পুরুষ খরগোশঅসুস্থ হলে তার জায়গায় ব্যবহার করা যায়।
ব্রয়লার খরগোশের গর্ভকাল ২৮ থেকে ৩০ দিন। মেটিং-এর ১২ থেকে ১৪ দিন পরেস্ত্রী খরগোশের পেটে অনুভব করে গর্ভাবস্থা নিরুপন করা যায়। পিছনের দুইপায়ের মধ্যবর্তী পেটে অনুভব করতে হবে। যদি একটা গোল পিন্ড অনুভত হয়, বুঝতেহবে খরগোশটি গর্ভবতী। যেসব খরগোশ মেটিং-এর ১২/১৪ দিন পরেও গর্ভবতী হয় নি,তাদের আবার মেটিং-এর জন্য পুরু পুরুষ খরগোশের কাছে পাঠানো হয়। যদি কোনস্ত্রী খরগোশ পরপর তিনবার মেটিং-এর পরও গর্ভধারন না করে – তাকে বাদ দেওয়াহয়, বা ফার্ম থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
মেটিং এর ২৫ দিন পরে গর্ভবতী খরগোশের ওজন সাধারনতঃ ৫০০ – ৭০০গ্রাম বেড়ে যায়। খরগোশটিকে তুললেই বাড়তি ওজন বোঝা যায়। এই সময় স্ত্রী খরগোশমেটিং করতে দিলেও করে না।গর্ভবতী খরগোশের যত্ন
গর্ভ নিরুপন হওয়ার পর গর্ভবতীদের বাড়তি ১০০ – ১৫০ গ্রাম ঘনীভুত খাদ্যদেওয়া উচিত্। মেটিং এর ২৫ দিন পরে গর্ভবতী খরগোশকে কিন্ডলিং খাঁচায় সরানোহয়। প্রত্যাশিত মেটিং-এর দিনের ৫দিন আগে নেস্ট বাক্সটা কিন্ডলিং বাক্সেরমধ্যে রেখে দিতে হবে। শুকনো নারকেলের ছোবরা বা ধানের খড়, বেডিং-এর জন্য,নেস্ট বাক্সে রাখা হয়। গর্ভবতী খরগোশ কিন্ডলিং-এর দুইদিন আগে নিজের পেটেরলোম তুলে বাচ্চাদের জন্য বাসা বানায়। এই সময়ে খরগোশকে বিরক্ত করতে নেই এবংবাইরের লোককে খাঁচার সামনে যেতে দিতে নেই।
সাধারনতঃ বাচ্চা হয় খুব সকালে। বাচ্চা হওয়ার পদ্ধতিটা ১৫ থেকে ৩০ মিনিটেরমধ্যে সম্পন্ন হয়। নেস্ট-বাক্সটা খুব সকালে দেখতে হয়। মরা বাচ্চা সরিয়েফেলতে হয়। নেস্ট-বাক্স পরীক্ষা করার সময় মা খরগোশ খুব চঞ্চল হয়ে ওঠে। তাইমাকে আগে বাক্স থেকে সরিয়ে দিতে হয়।
নবজাত খরগোশকে যত্ন ও সামলানো
জন্মের সময় নবজাত বাচ্চার চোখ বন্ধ থাকে এবং গায়ে কোন লোম থাকে না। সববাচ্চা সাধারনতঃ মায়ের বানানো বিছানায় শোয়া থাকে। সাধারনতঃ মা, দিনেএকবার, খুব সকালে বাচ্চাদের দুধ খাওয়ায়। যদি মাকে জোর করে বাচ্চাদের দুধখাওয়াতে বাধ্য করার চেষ্টা করা হয়, দুধ আসবে না। যেসব বাচ্চা যথেষ্ট পরিমানে মায়ের দুধ পায়, তাদের চামড়া চকচকে হয়। কিন্তু যারা মায়ের দুধ যথেষ্ট পায়না তাদের চামড়া শুকনো, কোঁচকানো থাকে, শরীরের তাপমাত্রা কম থাকেএবং তারা অলস হয়।
সৎ মাকে দিয়ে খাওয়ানো
সাধারনতঃ স্ত্রী খরগোশের বাঁটে ৮ থেকে ১২ টি বোঁটা থাকে। যখন বাচ্চার সংখ্যা বোঁটর সংখ্যার থেকে বেশী হয়, নবজাত বাচ্চারা যথেষ্ট দুধ পায় না এবং বাচ্চা মারা যায়। এ ছাড়াও অন্য পরিস্থিতি যেমন মায়ের মৃত্যু, মায়ের দ্বারা যত্নের অভাব, ছোট বাচ্চাদের খাঁচা থেকে পড়ে যাওয়ার ফলে মা-কে চিনতে না পারা এ সবের কারনে ছোট বাচ্চাদের দেখাশোনার জন্য সৎ মা ব্যবহার করা হয়।
বাচ্চাদের সৎ মায়ের কাছে সরানোর সময় যে সব বিষয় বিবেচনা করতেহবে
যে সব বাচ্চাকে সরাতে হবে তাদের বয়সের তফাৎ বা সত্ মায়ের বাচ্চাদের সাথে বয়সের তফাত্ ৪৮ ঘন্টার বেশী না হয়।
তিনটার বেশী বাচ্চা বা সৎ মা পরিবর্তন করা উচিত্ না।
বাচ্চা বা ছোটখরগোশদের বুকের দুধ ছাড়ানো
বাচ্চা খরগোশদের জন্মের পর তিন সপ্তাহ পর্যন্ত নেস্ট বাক্সে থাকতে দেওয়া হয়। তিন সপ্তাহ পর নেস্ট-বাক্স কিন্ডলিং খাঁচা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।বাচ্চাদের বুকের দুধ ছাড়ানো ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ বয়সে হতে পারে।

খরগোশের বাচ্চ দুধ না খাওয়ার কারণ কি?
ReplyDeleteখরগোশ যা যা খায়, দেখতে নিচের ভিডিওতে ক্লিক করুন
ReplyDeletehttps://youtu.be/ZF0AYi7ugy0
খরগোশের বাচ্চা দেওয়ার পরে বাচ্চার নাবির সাথে একটা সরু সুতার মাধ্যেমে একটা বড় পিন্ড আটকে আচে ।আখন করনীয় কি?
ReplyDeleteআমর মেয়ে খরগোশ বড় ছেলে খরগোশ টা ছোট মিটিং করলে কি বাচ্চা হবে
ReplyDelete